বহিপীর নাটক,সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ,পর্ব-০২ SSC
এসএসসি বাংলা-২০২২ বহিপীর নাটক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ বহুনির্বাচনি সৃজনশীল ২নং প্রশ্নের উত্তর fb link: https://fb.watch/dyRGEQWTY5/ ২নং প্রশ্ন ধর্মান্ধের ধর্ম নেই, আছে লোভ ঘৃণ্য চাতুরতা মানুষের পৃথিবীকে শত খণ্ডে বিভক্ত করেছে তারা টিকিয়ে রেখেছে শ্রেণিভেদ ঈশ্বরের নামে ঈশ্বরের নামে তারা অনাচার করেছে জায়েজ। ক. কত সালে 'বহিপীর' নাটক পুরস্কার লাভ করে? খ. এমন মেয়েও কারও পেটে জন্মায় জানতাম না'- এ উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ। গ. উদ্দীপকের ভাব ‘বহিপীর' নাটকের যে চরিত্রে প্রতিফলিত হয়েছে- তা ব্যাখ্যা কর। ঘ. 'বহিপীর' নাটকের সামগ্রিকতা উদ্দীপকের চেতনায় বিশ্বসী নয়- মন্তব্যটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর। ক-নং প্রশ্নের উত্তর ● ১৯৫৫ সালে 'বহিপীর' নাটক পুরস্কার লাভ করে। খ-নং প্রশ্নের উত্তর ● এমন মেয়েও কারো পেটে জন্মায় জানতাম না'- কথাটি দ্বারা তাহেরার আচরণের নিন্দা করা হয়েছে। ● তাহেরার সঙ্গে বহিপীরের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু তাহেরা পীরকে স্বামী হিসেবে মানতে নারাজ। সে পীরের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ি থেকে পালিয়েছে। তার এই পালানোটা জমিদারগিন্নি খোদেজার কাছে খুব অন্যায় কাজ মনে হয়েছে। কারণ খোদেজা পীরভক্ত, পীরের স্ত্রী হওয়া তার কাছে বিরাট সৌভাগ্যের ব্যাপার। অথচ তাহেরা বউ হতে রাজি নয়। ঘর থেকে পালানোর কারণে তার প্রতি খারাপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে খোদেজার মনে। এজন্যই তিনি উক্তিটি করেছেন। গ-নং প্রশ্নের উত্তর ● উদ্দীপকের ভাব ‘বহিপীর' নাটকের বহিপীর চরিত্রে প্রতিফলিত হয়েছে। ● প্রগতিশীল সমাজ গঠনের পথে প্রধান অন্তরায় কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতা। ধর্মের দোহাই দিয়ে সমাজের কিছু মানুষ তাদের লোভকে চরিতার্থ করতে চায়। ধর্মের দোহাই দিয়ে তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে। ● উদ্দীপকে একশ্রেণির মানুষের ঘৃণ্য স্বার্থ উদ্ধারের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। কিছু মানুষ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাদের লালসাকে চরিতার্থ করতে চায়। তারা ঈশ্বরের নামে সমাজে নানা বৈষম্য ও শ্রেণিভেদ টিকিয়ে রেখে নানা রকম অনৈতিক কাজ করে। উদ্দীপকের এই ভাব ‘বহিপীর' নাটকের বহিপীর চরিত্রেও প্রতিফলিত হয়েছে। নাটকের বহিপীর অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির লোক। তিনি অশিক্ষিত সাধারণ মানুষের কুসংস্কার ও ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে তার ধর্মব্যবসায় পরিচালনা করেন। তিনি বৃদ্ধ বয়সে তার এক মুরিদের কন্যাকে বিয়ে করে তার সেবার কাজে নিয়োগ করতে চান। ধর্মের দোহাই দিয়ে তিনি অনাচারগুলোকে জায়েজ করতে চান। এ দিক থেকে বহিপীর চরিত্রের সঙ্গে উদ্দীপকটি সংগতিপূর্ণ। ঘ-নং প্রশ্নের উত্তর ● 'বহিপীর' নাটকের সামগ্রিকতা উদ্দীপকের চেতনায় বিশ্বাসী নয়- মন্তব্যটি যথার্থ। ● ধর্মীয় কুসংস্কার এবং বাবা-মায়ের সচেতনতার অভাবে অনেক সময় মেয়েরা অনেক বড় সমস্যার সম্মুখীন হয়। ধর্মকে ব্যবহার করে প্রতারক পীর-ফকিরেরা তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারীদের সচেতনতা ও প্রতিবাদ তাদের লালসা থেকে রক্ষা করে। ● উদ্দীপকের কবিতাংশে ধর্মকে ব্যবহার করে যারা নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে চায় তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। অন্যদিকে 'বহিপীর' নাটকে এক পীরকে কেন্দ্র করে ঘটনা বিকাশ লাভ করেছে। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সব ধরনের হীন কাজ করেছে। অন্যদিকে হাশেম আলি ও তাহেরা তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তারা ধর্মীয় কুসংস্কার ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। এর অবসান করতে চেয়েছে। ● উদ্দীপকের কবিতাংশে ধর্মান্ধের প্রতি কবির ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। অন্যদিকে 'বহিপীর' নাটকের তাহেরা, জমিদার হাতেম আলি ও হাশেম আলির মানবিক ও প্রতিবাদী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে, যা ধর্ম ব্যবসায়ী অসাধু পীরকেও বদলে দিয়েছে। এখানে নাট্যকার শুধু ক্ষোভ প্রকাশ করেননি, তিনি জনসচেতনতা তৈরি করেছেন এবং প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে মানবিকতার জয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। সমগ্র নাটকে তিনি ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করে মানবিক সত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ । |
thanks
উত্তরমুছুন