কাকতাড়ুয়া উপন্যাস পর্ব-০১ [SSC]
এসএসসি বাংলা-২০২ কাকতাড়ুয়া উপন্যাস সেলিনা হোসেন বহুনির্বাচনি সৃজনশীল ১নং প্রশ্নের উত্তর ১নং প্রশ্ন সুমন তার পরিবারেব সাথে সাভারে বেড়াতে গিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধ দেখে অবাক হয়। সে মায়ের কাছে এ স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে জানতে চায়। মা তাকে বলে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মরনে এই স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হয়েছে। স্মৃতিসৌধ তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল হয়ে আছে। ক. উপন্যসের আখ্যানভাগ কী? খ. আলো-আঁধার বুধার কাছে সমান কেন? গ. উদ্দীপকের স্মৃতিসৌধ 'কাকতাড়ুয়া' উপন্যাসের কোন স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা কর। ঘ. উদ্দীপকের স্মৃতিসৌধ ও 'কাকতাড়ুয়া' উপন্যাস উভয়ই মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল”— বিশ্লেষণ কর। ক-নং প্রশ্নের উত্তর ● উপন্যাসের আখ্যানভাগ হচ্ছে- Plot বা কাহিনি-সমগ্র । খ-নং প্রশ্নের উত্তর ● বুধার জীবনাচরণ ও চলাফেরায় ভয়শূন্য এবং কোনো সময়-অসময় নেই বলে তার কাছে আলো-আঁধার সবই সমান। ● বাবা-মা, ভাই-বোনদের হারিয়ে বুধা এই পৃথিবীতে বড় একা। সে ছন্নছাড়া, উদ্দেশ্যহীন জীবনযাপন করে। ঘুরতে ঘুরতে যে কোথায় যায় সেই হিসাব সে রাখে না। ওর কাছে উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম সব সমান। মনে করে যেদিক দু চোখ যায় সেদিকেই ওর জন্য রাস্তা খোলা। হাটে মাঠে ঘুরে বেড়ায়। খেয়ে না-খেয়ে দিন কাটায়। চলাফেরায় সে ভয়শূন্য। রাত পোহালেই দিনের আলো, সূর্য ডুবলেই আঁধার। এ জন্য বুধার কাছে আলো-আঁধার সবই সমান।. গ-নং প্রশ্নের উত্তর ● স্মৃতিসৌধ ‘কাকতাড়ুয়া' উপন্যাসের মুক্তিযুদ্ধ ও শহিদদের স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয়। ● মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির অহংকার, বাংলার ইতিহাসের এক গৌরবমণ্ডিত অধ্যায়। ১৯৭১ সালে বাংলার মুক্তিপাগল জনতা শত্রুধ্বংসের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এদেশের সাহসী সন্তানরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে স্বদেশকে শত্রুমুক্ত করেছে। ● উদ্দীপকের স্মৃতিসৌধ' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতীক। এটি বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের স্মারক। এর মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষের দেশপ্রেমও প্রতিফলিত হয়। এই স্মৃতিসৌধ 'কাকতাড়ুয়া' উপন্যাসের মুক্তিযুদ্ধ ও শহিদদের স্মৃতিকে মনে করিয়ে দেয়। 'কাকতাড়ুয়া' উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধের বর্ণনা পাওয়া যায় । রাজাকার-শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানের ঘর দেওয়া, মিলিটারি ক্যাম্পে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা এবং বাংকারে মাইন পুঁতে মিলিটারি ক্যাম্প উড়িয়ে দেওয়া মুক্তিযুদ্ধের অংশ। বুধা এসব কাজের কোনোটা করেছে নিজের বুদ্ধিতে আর কোনোটা করেছে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে। বুধার গ্রামের অনেকেই পাকিস্তানিদের গুলিতে শহিদ হয়েছেন। তাঁদের এসব স্মৃতিই বহন করে চলেছে উদ্দীপকের স্মৃতিসৗধ। ঘ-নং প্রশ্নের উত্তর "উদ্দীপকের 'স্মৃতিসৌধ' ও 'কাকতাড়ুয়া' উপন্যাস উভয়ই মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল"- মন্তবাটি যথার্থ। ● ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের ওপর নির্মম নির্যাতন শুরু করে। তাদের সেই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ভয়ে বাঙালি পিছপা না হয়ে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে তাদের মোকাবিলা করে। অবশেষে তাদের পরাজিত করে অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করে। ● উদ্দীপকের সুমন মায়ের সঙ্গে সাভারে গিয়ে স্মৃতিসৌধ দেখে অবাক হয়। স্মৃতিসৌধ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তার মা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মরণে এই স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হয়েছে। স্মৃতিসৌধ তরুণ প্রজন্মের কাছে প্রামাণ্য দলিল হয়ে। দাঁড়িয়ে আছে। অন্যদিকে 'কাকতাড়ুয়া' উপন্যাসের প্রেক্ষাপট ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। এক সাহসী কিশোর বুধা। গ্রামে মিলিটারি আসার পর থেকে তার ও মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন, আলি ও মিঠুর কর্মকাণ্ড, আহাদ মুন্সি ও রাজাকারদের তৎপরতা, গ্রামবাসীর মৃত্যু, ধ্বংসলীলা, গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে মানুষের আত্মরক্ষার চেষ্টা, মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ, বুধাদের প্রতিশোধ গ্রহণ সবই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে ধারণ রে। ● 'কাকতাড়ুয়া' উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রেক্ষাপট বর্ণিত হয়েছে। আর সাভারের স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে স্মরণ এবং এর ইতিহাস বহন করেছে। উভয় জায়গায় মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। এসব দিক বিচারে উদ্দীপকের স্মৃতিসৌধ ও 'কাকতাড়ুয়া' উপন্যাস উভয়ই মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্য দলিল। কাকতাড়ুয়া উপন্যাস পর্ব-০১ [SSC] |
কোন মন্তব্য নেই